দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪০ দিন পর আবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার আমদানিকারক জুবায়ের ইন্টারন্যাশনাল ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন ও যশোরের দ্বীন ইসলাম ট্রেডার্স ৪৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে ১২৩ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি জনি ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দর থেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন।ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কম থাকে।
আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে আর খুচরা বাজারে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।
এর আগে ৩০ এপ্রিল থেকে উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। কোটি কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের কেনা পেঁয়াজ ওপারে রফতানি কারকের কাছে আটকা পড়ে যায়।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী অফিসার হেমন্ত কুমার সরকার জানায়,গতকাল ভারত থেকে ৭৫.৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মূল্যের ওপর ৫% হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমদানিকারকেরা সহযোগীতা করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ।
বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি কমেছে ১০-১৫ টাকা। গত তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি মূল্য ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজার মূল্য আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।
মহসিন মিলন আরও জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হলে  সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যদের কারসাজিতে পেঁয়াজের মূল্য আকাশ ছোঁয়া বেড়ে যায়।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।